প্রকাশিত: ১৬/০৬/২০১৭ ৯:০১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২৬ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

পবিত্র রমজানেও থেমে নেই জুয়া, মাদক বেচাকেনা ও সেবন। উখিয়ার ৭টি স্পটে তৈরী হচ্ছে চোলাই মদ। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসছে মরণনেশা ইয়াবা সহ বিভিন্ন প্রকার বোতলজাত মাদকদ্রব্য। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি শ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মাদকদ্রব্য বাজারজাত হওয়ার সুবাধে এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম মাদকদ্রব্য। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাঝেমধ্যে হানা দিয়ে দু’একটি মাদকের মামলা রুজু করলে ও চিহ্নিত মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। যে কারনে এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সচেতন অভিভাবক মহল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা সেতুনির টেক ও মরিচ্যা শীলপাড়া ও মাহজন পাড়া গ্রামের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি চোলাই মদের অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। চোলাইমদ তৈরী নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসি ও মাদকব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘঠিত বিচ্ছিন্ন ঘটনার জের ধরে উখিয়া থানা পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে মদের কারখানা গুড়ি য়ে দেয়। এসময় পুলিশ বিপূল পরিমাণ মদ ও মদ তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রণি জানান, এ ঘটনার পর থেকে চোলাইমদ তৈরী কিছুদিন বন্ধ থাকলেও এখন আবারো পুরোদমে শুরু হয়েছে মাদক বেচাকেনা। এ ছাড়া ও কোটবাজার বড়–য়া পাড়া গ্রামে ৫টি বসতবাড়ীতে চোলাইমদ তৈরী ও বিক্রি চলছে হরদম। উখিয়া সদর বড়–য়া পাড়া গ্রামের একাধিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামী তার নিজের আস্তানায় মদ বিক্রিতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় বর্তমানে ঐসব উল্লেখিত স্থান গুলোতে কমিশন ভিত্তিক মদ তৈরী ও বাজারজাত করা হচ্ছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসির অভিযোগ। টাইগারের খালি বোতলে চোলাইমদ প্যাকেটিং করে অভিনব কায়দায় মাদকদ্রব্য বাজারজাত করার ফলে রোজার মাসে ও মাদক ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ।

ভালুকিয়া সুর্য্যদয় সংঘের সভাপতি নুরুল আলম অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক পবিত্র রমজান মাসে ও মদ, গাজা সেবন করে ঘাঠিপাড়া এলাকায় জুয়ার আসরের বৈঠকে লাখ লাখ টাকা লেনদেন করছে। এ কাজে বাধা দেওয়ায় বিপদগামী যুবকদের হাতে মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের নাজেহাল হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত